আরবিসি ডেস্ক : বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল সেনেগাল। কিন্তু শেষ ষোলো থেকেই ফিরতে হচ্ছে আফ্রিকার দেশটিকে। তাদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে শেষ আটে পা রেখেছে ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যারি কেইনদের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
আল বায়িত স্টেডিয়ামে সেনেগালকে সেভাবে পাত্তাই দেয়নি ইংলিশরা। জয়ও পেয়েছে অনায়াস ভঙ্গিমায়। যদিও শুরুতে গোল পেতে সমান চেষ্টা করে যাচ্ছিল দুই দলই। তবে ইংল্যান্ড ডেডলক ভাঙার পর ম্যাচে আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি সেনেগালিজদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচে না হলেও আজ ঠিকই দলের সেরা তারকা সাদিও মানের অভাব বোধ করেছে তারা।
নড়বড়ে ইংল্যান্ড শক্ত হয়ে ওঠে প্রথমার্ধের শেষদিকে। ৩৮ মিনিটে গতবারের সেমিফাইনালিস্টদের এগিয়ে দেন জর্ডান হেন্ডারসন। বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কাটব্যাক করেন জুড বেলিংহ্যাম। তার থেকে বল পেয়ে সহজেই সেনেগাল গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দিকে পরাস্ত করেন হেন্ডারসন।
এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় গোলটা সহজেই বের করে নেয় ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফিল ফোডেনকে বল বানিয়ে দেন বেলিংহ্যাম। কোনো কাল ক্ষেপণ না করে হ্যারি কেইনের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান ফোডেন। তাতে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে কোনো ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক।
বিরতির পরও খেলা থাকে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে। ৫৭ মিনিটে হ্যারি কেইন বল হারিয়ে ফেললেও ফোডেন এসে তা দখল করেন। বাঁ প্রান্তে কিছুটা এগিয়ে পেনাল্টি বক্সে বল বাড়ান এই মিডফিল্ডার। তা আয়ত্তে নিয়ে মেন্দির ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান বুকায়ো সাকা। বাকিটা সময় খেলায় তেমন কোনো সুযোগই তৈরী হয়নি। ফ্রি-কিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি সেনেগাল। ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় তারা ৮৭ মিনিটে গিয়ে। তাতেও বিপদ জাগাতে পারেনি। তাই বেশ অনায়াস জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তারা।
আরবিসি/০৫ ডিসেম্বর/ রোজি