স্টাফ রিপোর্টার : সঙ্গীত পরিবেশন ও স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়। এর আগে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) শিল্পীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে দলীয় ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন শুরু করেন। বেলা ২ টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বেলা ৯ টার পর মাদ্রাসা ময়দান বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এতে অংশ নিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে রাজশাহীতে এসে পৌঁছেছেন। তবে শীর্ষ নেতাদের দুপুর ১২ পর্যন্ত মঞ্চে দেখা যায়নি।
এদিকে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে দুটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। আসন দুটিতে তাদের ছবি রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার রাজশাহীতে এই সমাবেশ হচ্ছে। এটি বিএনপির ৯ম সমাবেশ।
বিএনপির এই সমাবেশের সমন্বয়ক ও চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সমাবেশে অবশ্যই থাকতেন। কিন্তু তারা আসতে পারেননি। তাই তাদের সম্মানে মঞ্চে দুটি আসন রাখা হয়েছে।’
এর আগে তিন দিন অপেক্ষার পর শনিবার সকাল ৬টা থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করেন। সকাল ৯টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সকাল থেকে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন ।
এর আগে গত বুধবার এই মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। পুলিশ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলেছে। সমাবেশে যোগ দিতে তিন দিন আগেই নেতাকর্মীদের অনেকে রাজশাহী চলে আসেন।
তবে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সময় পুলিশের শর্ত ছিল, সমাবেশের আগে নেতাকর্মীরা মাঠে ঢুকতে পারবেন না। শর্ত মেনে নেতাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সমাবেশের মাঠ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে। তিন দিন ধরে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকাল থেকে শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে। এছাড়া শহরে ঢোকার তিন দিকের পথের ১৭টি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদ্রাসা ময়দান ও এর আশপাশের পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করছে পুলিশ।
আরবিসি/০৩ ডিসেম্বর/ রোজি