স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তারা আগে থেকেই রাজশাহীতে আসছেন। তবে এখনো কাউকে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তারা রাজশাহীতে বিএনপির পার্টি অফিস ও ভাড়া করা কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে থাকছেন।
আগামী ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে সর্বশেষ বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এরপরই দলটি ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করবে। এরই মধ্যে আট শর্তে রাজশাহীতে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। প্রতিটি বিভাগীয় সমাবেশের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বাস ও গণপরিবহন। তাই আগে থেকেই নেতাকর্মীরা ছুটছেন রাজশাহীতে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে ঢুকতে শুরু করেছেন।
বগুড়া থেকে রাজশাহীতে এসেছেন আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, বাস তো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সকাল সাতটায় গাড়িতে উঠে বেলা ১১টায় রাজশাহীতে এসেছি। এখন বিএনপি অফিসে আছি। বিকেলে মাঠে যাবো। সেখানেই থাকবো।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিরোধীদল অবরোধ বা হরতাল দেয় শুনেছি। কিন্তু এখন তো সরকারই হরতাল দিচ্ছে। তাই আগেই চলে এসেছি। তিনি বলেন, সঙ্গে করে চিড়া, মুড়ি ও গুড় নিয়ে এসেছি। আজকেই মাঠে যাবো। সেখানে এসব খেয়ে থাকা শুরু করবো।
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে বগুড়া থেকে এসেছেন মাজহার হোসেন। তিনি বলেন, আগামী কাল থেকেই বাস বন্ধ। তাই আজকেই চলে এসেছি। এখন পার্টি অফিসে আছি। এখানেই থাকবো। বিকেলে মাঠে যাবো।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় জনসভার সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, মাদরাসা মাঠ ১ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহার করতে দেবে না। আমরা বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেছি। আজকের মধ্যেই লাখ লাখ মানুষ আসবে। আমরা তাদের বিভিন্ন স্থানে রাখার চেষ্টা করছি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীতে মানুষ পদ্মা নদীর স্রোতের মতোই আসবে। আজকে রাতেই সেটি প্রমাণ হয়ে যাবে। ১৫ লাখ মানুষ এই সমাবেশ আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজশাহীর মানুষ অতিথিপরায়ণ। প্রতিটি বাড়িতে আমাদের নেতাকর্মীদের জায়গা দেবে। নিজেরা না খেয়ে হলেও তাদের খেতে দেবে।
আরবিসি/৩০ নভেম্বর/ রোজি