স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে একটি বিকাশের দোকানে দিনেদুপুরে ৪ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ নভেম্বর দুপুরে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিনই মামলার এজাহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার (১৯ নভেম্বর) ১২দিন অতিবাহিত হতে চললেও বাদীর সেই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ ব্যবসায়ী মাসুদ রানার (৪০) বাড়ি মহানগরীর আসাম কলোনী এলাকায়। মাসুদ রানা এই ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলার এজাহার দেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তের কথা বলে এখনও সেই মামলা গ্রহণে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিনি গত ৭ নভেম্বর দুপুরে যোহরের নামাজ পড়তে পাশের মসজিদে গিয়েছিলেন। সেই সময় দোকানে কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে চোরের দল তার দোকানে ঢুকে প্রায় ৪ লাখ টাকা নিয়ে যান। ঘটনার দিন (৭ নভেম্বর) তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলার এজাহার দিয়ে আসেন। পুলিশ প্রথমে তার অভিযোগ নেবে বলেও জানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১২ দিন অতিবাহিত হতে চললেও ১৯ নভেম্বর রাত পর্যন্ত ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। দিনেদুপুরে এমন ঘটনা ঘটলেও তদন্তের নামে মামলা গ্রহণ নিয়ে গড়িমসি করছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে মাসুদ রানা মহানগরীর শালবাগান মোড়ের রাজধানী মার্কেটের পাশে ‘বদরুল টেইলার্স’ নামের বিকাশের দোকানের মালিক। গত ৭ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে যোহরের নামাজ পড়ার জন্য পাশের একটি মসজিদে যান। নামাজ শেষ করে এসে দেখেন অজ্ঞাত চোর কৌশলে তার দোকানের তালা ভেঙে ঢুকে প্রায় ৪ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যান। আশেপাশের ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করলেও তারা কিছু বলতে পারেননি।
মাসুদ রানা বলেন, ওই দিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ তিনি থানায় জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে গড়িমসি করছে। তার ব্যবসার মূলধন চুরি হয়ে গেছে। তিনি এখন কিভাবে ব্যবসা করবেন? তার একটাই দাবি মামলাটি গ্রহণ করে ওই দিনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। আর তার ব্যবসার টাকাগুলো উদ্ধার করে দেওয়া হোক।
বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ৭ নভেম্বর ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত সাপক্ষেই ওই এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। এ ঘটনায় একটা ফুটেজ পেয়েছেন। তারা দোকানীর বিকাশ ট্রানজেকশনও দেখেছেন। এছাড়া ফুটেজটি সাইবার ক্রাইমে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
আরবিসি/১৯ নভেম্বর/ রোজি