বৃহস্পতিবার ৮টার দিকে শার্শার পাঁচ ভূলাট সীমান্তের রহমতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মেহেদী হাসান এসব সোনার বার ফেলে পালিয়ে গেছেন বলে জানায় বিজিবি।
খুলনা-২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- বিপুল পরিমাণ সোনার একটি চালান শার্শার পাঁচ ভূলাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন এক মোটরসাইকেল আরোহীকে গতিরোধ করা জন্য বিজিবি থামতে বলে। এসময় মেহেদী স্পিড বাড়িয়ে সোনা নিয়ে পালাতে গেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান। পরে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলে থাকা একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৯ কেজি ৫৫৮ গ্রাম ওজনের ৮২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ছয় কোটি ৭৮ লাখ টাকা। উদ্ধারকৃত সোনা ট্রেজারিতে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ও পলাতক আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে বিশেষ দুটি অভিযান চালিয়ে ৪৯ ও ২১ বিজিবির সদস্যরা ২৬ কেজি ওজনের ১৯৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকা।
আরবিসি/১৮ নভেম্বর / রোজি