বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে চাঁদপুর শহরের লেডি প্রতিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ওই নবজাতকের জন্ম হয়।
ওই অন্তঃসত্ত্বার নাম আয়েশা বেগম। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামের কৃষক শরীফের স্ত্রী। এদিন তিনি চাঁদপুর শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবজাতক জন্মের সম্ভাব্য তারিখের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ আয়েশা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হয়। সঙ্গে কেউ না থাকায় এক পর্যায়ে তিনি নিজেই ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যান। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াছমিন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে জানালে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার (আরএমও) নির্দেশে নার্সিং বিভাগের কর্মরত নার্স ও স্টাফরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।
প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াছমিন জানান, হাসপাতালের নার্সরা ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক ও মাকে পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আয়েশা বেগমের সন্তান জন্মদানের তারিখ ছিল আগামী ২২ নভেম্বর।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসিবুল আহসান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পর্যবেক্ষণের জন্য মা ও নবজাতক হাসপাতালে রয়েছে। দুজনেই সুস্থ আছেন।
আরবিসি/১৭ নভেম্বর / রোজি