স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ২৬ শিশু আসামিকে বিভিন্ন অপরাধের ৩০টি মামলায় সাজা না দিয়ে ভালো কাজ করার ১০ শর্তে বিকল্প পন্থায় সংশোধনের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক হাসানুজ্জামান এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও একজন ১ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শামসুন নাহার মুক্তি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শামসুন নাহার মুক্তি বলেন, মাদক বহন, ধর্ষণচেষ্টাসহ বিভিন্ন লঘুদণ্ডের মামলা ছিল ওই ২৬ শিশু-কিশোর-কিশোরীর ওপর। তারা সবারই এটি প্রথম মামলা। আর কোনো দিন অপরাধে জড়াবে না শপথ পাঠসহ, ভালো কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদলত। রায় কার্যকরের এই বিষয়টি সমাজসেবা প্রবেশনারি অফিসারকে মনিটরিং করতেও বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিকল্প পন্থায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশে প্রথম এক সঙ্গে এত বেশি শিশুকে এই রকমের দণ্ড দেওয়া হলো। তাদের মেন্টাল চেঞ্জের কারণেই এমন রায় দিয়েছেন আদলত। রাজশাহী সমাজসেবা প্রবেশনারি অফিসার মতিনুর রহমান বলেন, আদালতে এটি একটি ভালো আদেশ দিয়েছেন। আদালত আমাদের ওই শিশুদের অপরাধের ধরন দেখে ভালো কাজ কী কী করবে সেটি ঠিক করতে বলেছেন।
এছাড়াও তাদেরকে মাদকে না জড়ানো, বাল্য বিবাহ না করা, পিতা-মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার, মারামারিতে জড়ানো এই সব ধরনের কাজ থেকে রিবত রাখতে বলেছেন।
তিনি বলেন এটি একিটি বিরল রায়। এর আগে কখনও এমন হয়নি। রাজশাহীতে প্রথম এই ধরনের রায়ের ব্যবহার হলো। আমার এখন তাদের মনিটরিং করবো ও তাদের আরও ভালো কাজগুলো ঠিক করে দেব।
আরবিসি/১৫ নভেম্বর/ রোজি