স্টাফ রিপোর্টার : বাগমারা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানি সংগ্রহের উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে নদী। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির প্রচেষ্টায় নদীকে বেগবান করতে বাগমারা উপজেলার দুইটি নদী পুনঃ খননের আওয়াতায় আনা হয়েছে। ৬৪ জেলা অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়) ২য় সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাগমারায় ফকিরনী নদীর সাড়ে ১৬ কিলোমিটার ও বারনই নদীর ১৪ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সূর্য্যপাড়ায় ফকিরনী নদীর তীরের বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এক অনুষ্ঠানে নদী পুনঃখননের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষ বর্তমানে নদী দখল করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নদীর মাঝ পর্যন্ত দখলে নিয়ে বাড়িঘর নির্মানের পাশাপাশি কলকারখানা তৈরি করছে। এভাবে নদী দখল করা হবে না। নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। নদী অবৈধ ভাবে ভরাট করে নদীকে মেরে ফেলা যাবে না।
নদীর গতি বন্ধ হওয়ায় দেশে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি আগের মতো সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারছেনা। নদীতে তার যৌবন ফিরে দিতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নদী দূষণ রোধ করতে হবে। নদীর পানি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। দেশের নদীগুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সেই সাথে নদীর অনেক অংশ বেদখল অবস্থায় রয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পুনঃখনন করা জরুরী। তাহলে সারা বছর দেশের প্রতিটি নদীতে পানি পাওয়া যাবে। সেই পানির সঠিক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করতে হবে। নদীতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। নদী প্রতিটি দেশের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। কেউ যেন অবৈধ ভাবে দখল করা না হয় সে জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মনিটরিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেক মণ্ডল।
এতে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আলম লোটন, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, জাহাঙ্গীর আলম হেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ।
ফকিরনী নদীর বাগমারা থানার মোড় হতে হুলিখালী ব্রিজ এবং বারানই নদীর তাহেরপুর থেকে মোহনগঞ্জ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদীর পুনঃখনন করা হবে। এতে ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই খনন কাজ করা হবে।
আরবিসি/০৮ নভেম্বর/ রোজি