আরবিসি ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের মালিকানা বদলকে কটাক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই প্ল্যাটফরমটি এখন বিশ্বজুড়ে মিথ্যে ছড়াচ্ছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইলিনয়েসের রোসেমন্ট শহরে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় বাইডেন বলেন, ‘এখন আমরা সবাই দেখছি যে, ইলন মাস্ক একটি সরঞ্জাম কিনেছেন—যা বিশ্ব জুড়ে মিথ্যে ছড়াচ্ছে। আমরা সবাই এতে শঙ্কিত; কারণ আমেরিকায় এখন আর কোনো সম্পাদক নেইৃকোনো সম্পাদক নেই।’
ইলন মাস্ক টুইটারকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বর্গ’ হিসেবে গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে; তারা যে (টুইটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার) ব্যাপারটি বুঝবে— তা আমরা কীভাবে আশা করব?’
পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, টুইটার কেনার পর এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে নতুন করে সাজানোর ব্যাপারে মাস্ক যে বক্তব্য দিয়েছেন— তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতাশ।
গত ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পর ইলন মাস্ক বলেছিলেন, তিনি চিন্তা ও মতপ্রতাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ও টুইটারকে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এ সম্পর্কে এক বার্তায় বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যাটফরম অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হবে এবং সবাইকে স্বাগত জানাবে। এটা এমন একটি জায়গা হবে, যেখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার নিজ নিজ পছন্দের ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন।’
ক্যাথরিন জিন-পিয়েরে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ইলন মাস্কের এই বক্তব্যে) হতাশ হয়েছেন। কারণ তিনি প্রত্যাশা করেন—টুইটার, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূরক বক্তব্য, কন্টেন্ট এবং ভুয়া সংবাদ ছড়ানো রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে।’
২৮ অক্টোবর মালিকানা গ্রহণের পরপরই টুইটারের শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালসহ কয়েকজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাতে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন মাস্ক। তারপর গত ৮ দিনে কোনো পূর্বনোটিশ না দিয়ে ঢালাওভাবে কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। শনিবার এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে এমন ঢালও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মীদের একাংশ। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা হয়েছে এই মামলা।
আরবিসি/০৫ নভেম্বর/ রোজি
biden