আরবিসি ডেস্ক : দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশনে সংযোজিত হলো আধুনিক আরও ২টি টহল বিমান (মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট, এমপিএ)।
রোববার (৩০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে এমপিএ ২টি সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইএসপিআর জানায়, এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো ২টি এমপিএ নেভাল এভিয়েশনে সংযোজন করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশন এমপিএ স্কোয়াড্রনে মোট ৪টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো।
আধুনিক সেন্সর ও মিশন ইকুইপমেন্ট সম্বলিত নতুন ২টি ডর্নিয়ার ২২৮ এনজি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। এছাড়া ওই দুটো মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট প্রায় ৫ ঘণ্টা একনাগাড়ে উড্ডয়ণের মাধ্যমে আমাদের সম্পূর্ণ এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন সহজেই নজরদারি করতে পারবে।
নতুন মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট ২টিতে গভীর সমুদ্রে নজরদারি পরিচালনার জন্য যুক্ত রয়েছে সার্ভেইল্যান্স র্যাডার, ইলেক্ট্রা অপটিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা, ট্যাকটিক্যাল ডেটা লিঙ্ক ও সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ডিটেকশন ফাইন্ডার।
এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত মিশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং জাহাজ ও সাবমেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে এমপিএ দুইটিতে। এই এমপিএগুলো কমান্ড প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশের সমুদ্রসীমার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সুরক্ষায় যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হলে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় নেভাল এভিয়েশনের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দপ্তরের পিএসও, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডাররা, মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি/৩০ অক্টোবর/ রোজি