স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গপোসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ নিয়ে সোমবার সকাল থেকে দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে। ‘সিত্রাং’, আর নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। এটি এক ধরনের ফুল গাছ।
সিত্রাং সোমবার দিবাগত মধ্যে রাতে আঘাত হানবে দেশের উপকুলে। কিন্তু তার আগেই যেন রাজশাহীর আকাশে ছড়িয়ে দিলো মেরুন (গাঢ় খয়েরি) রঙের আগমনী বার্তা। সন্ধ্যায় রাজশাহীর আকাশে মেঘের রঙটা ছিল ভিন্ন রকমের।
গোধূলী লগ্নে পুরো হয়ে পড়ে মেরুন রঙ। এমন রঙের মেঘ আকাশে অনেকেই দেখেনি। অনেকেই বেশ অবাক হয়েই তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। অনেকেই বলেছে এটি ‘সিত্রাং’ এর আগমনী বার্তা।
মেরুন রঙ তৈরি হয় নীল, লাল ও কমলা রঙের সমন্বয়ে। নীল রং প্রশান্তি, শীতলতা, বিশ্বস্ততা, প্রজ্ঞা, সততা, আবেগশূন্যতা, বিরাগ, কেন্দ্রীভূত আচরণ প্রভৃতিকে নির্দেশ করে।
লাল রং সাধারণত প্রণয়, ভালোবাসা, স্নেহময়তা, শক্তি, উত্তেজনা, সতেজতা এবং তীব্র আবেগ নির্দেশ করে। আর হলুদ রঙ খুশি, আনন্দ, উচ্ছ্বলতা, স্নেহময়তা, আশাবাদীতা, তীব্র আবেগ, ক্ষুধা, হতাশা এবং রাগ প্রকাশ করে। ‘সিত্রাং’ যেন রাজশাহী মহানগরীর মানুষকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার আগমনী বার্তা দিয়ে গেল।
যে বার্তায় ভালোবাসা, স্নেহময়তা, শক্তি, উত্তেজনা, আবেগশূন্যতা, বিরাগ, আশাবাদীতা, তীব্র আবেগ, ক্ষুধা, হতাশা আছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে বেড়াতে গিয়েছিল নগরীর সপুরা এলাকার ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এমন রঙের আকাশ প্রথম দেখলাম। অনেক সুন্দর আকাশ। কিন্তু ‘সিত্রাং’ এর কারণে কিছুটা ভয়ও লাগছিল এমন আকাশ দেখে।
নগরীর নওদাপাড়ার এলাকার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের মেয়ে তিয়শী (৮)। সন্ধ্যার আকাশ দেখে সেও মুগ্ধ। তিয়শী বলে, এমন সুন্দর আকাশ আমি কোনদিনই দেখিনি। এমন রঙিন আকাশ আমাকে বেশ ভালো লেগেছে।
আরবিসি/২৪ অক্টোবর/ রোজি