স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের বয়স মাত্র তিন মাস। নববধূর হাতের মেহেদি পাতার রং তখনও শুকায়নি। ভালই চলছিল নাহিদ হাসানের ঘর সংসার। হঠাৎ স্বর্ণালঙ্কার, চাঁদির গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে লাপাত্তার অভিযোগ নববধূ পলিনা খাতুনের (১৬) বিরুদ্ধে।
বাগমারা থানার লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তানোর উপজেলার মোহর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদ হাসান (২০) প্রায় তিন মাস পূর্বে বিয়ে করেন। নাহিদ শিশুকাল থেকে নানাবাড়ী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বেলঘরিয়াহাট গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
নাহিদ বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের মোজাফফর হোসেনের মেয়ে পলিনা খাতুনকে শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ করেন। বাড়ির সাথে লাগানো নাহিদ হাসানের মুদি দোকান রয়েছে।
দোকানের মালামাল ও সওদা করার উদ্দেশ্যে নাহিদ সাবাইহাট গেলে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক পলিনা খাতুন তার নিকট আত্মীয়দের মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমি বিক্রয়ের চার লক্ষ টাকা, সাত ভরি চাঁদির গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। গত সোমবার ১৭ অক্টোবর বেলা দেড়টার দিকে নাহিদ বাড়ী ফিরে সব কিছু তছনছ দেখে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন।
নাহিদের মা নার্গিস বেগম জানান, দুইমাস পূর্বে ছেলের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি চার লক্ষ টাকায় বিক্রয় করা হয়েছে। ওই টাকা, সোনা এবং চাঁদির গহনা ঘরে রক্ষিত বাক্সে রাখা ছিল। আমরা আজ সর্বস্বান্ত্ব। আমাদের নাওয়া-খাওয়া নাই। উল্টো আমাদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। পলিনা খাতুনকে চার্জার ভ্যানযোগে দৌলতপুরের দিকে যেতে দেখেছে এমনটি জানিয়েছেন আসপাশের লোকজন।
পলিনার বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়ে আমার বাড়ী আসে নাই। এ ঘটনায় নাহিদ হাসান বাগমারা থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার সকালে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরবিসি/১৯ অক্টোবর/ রোজি