স্টাফ রিপোর্টার : আবাসিক হলের ছাদ থেকে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সাড়ে রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে মুমুর্ষ অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসকদের সহায়তা না পেয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছে রাবির শিক্ষাথীরা। রাত ১০ টার দিকে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ড অবরুদ্ধ করে ভাংচুর চালিয়েছে তারা। এ সময় রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে রাতে রামেক হাসপাতালে তুলকালাম কান্ড চলছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেস্টা করছেন।
জানা গেছে নিহত শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
হল সূত্রে জানা গেছে, হলের ছাদের রেলিংয়ে বসে ফোনে কথা বলছিলেন শাহরিয়ার। এসময় অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে যান তিনি। গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী হল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এদিকে তার মুত্যুর খবর পেয়ে রাবির সহকর্মীরা ছুটে আসে রামেক হাসপাতালে। এসেই তারা চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ড অবরুদ্ধ করে।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের গেটসহ ৮নং ওয়ার্ডে ভাঙচুর চলায়। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ৮নং ওয়ার্ডের দুইজন চিকিৎসককে অবরুদ্ধে করে রাখে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
আরবিসি/১৯ অক্টোবর/ রোজি