• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর সব কেন্দ্র প্রস্তুত সকালে ভোট গ্রহণ শুরু

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের (জেলা প্রশাসক) কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণের উপকরণ বিতরণ করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সেইসব নির্বাচন সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্র পৌছানো হয়েছে।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল হোসেন জানিয়েছেন- রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন লড়ছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি লড়ছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তিনি আরও জানান, সোমবার রাজশাহীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় একটি করে ৯টি কেন্দ্র এবং মহানগরীতে একটি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব কে›েৃদ্র ইতিমধ্যে তিনটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এসব সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরগরম রাজশাহীর রাজনীতি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট আয়োজন করতে কক্ষে সিসিটিভি ক্যমেরা স্থাপনসহ সবগুলো কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রাজশাহীর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজশাহীতে। চেয়ারম্যান প্রার্থী চারজন হলেও লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এবং ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতারের মধ্যে।

মাঠের প্রচারণায় অন্য দুজন প্রার্থীর কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। রাজশাহীতে ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ১৮৫ জন। তারা রাজশাহী ৯টি উপজেলার ১৮টি কক্ষে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট দেবেন। ভোটের দিন যে কোনো সহিংসতা এড়াতে মাঠে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। মনিটরিং করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তিনি নিজেও জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন বলে উল্লেখ করেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, কোন পক্ষপাতিত্ব নয়, জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
এদিকে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার বলেন, আজ (১৭ অক্টোবর) রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সদস্য পদে নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজশাহী সাধারন-৩ এর ভোট গ্রহণ পবা উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্র অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৮টা হতে বিরতিহীনভাবে বিকেল ২টা পর্যন্ত পবা উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্র ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটকেন্দ্রসমূহে পুরা পোষাকে ও সাদা পোষাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও তিনি উক্ত নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক প্রদান করেন।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ অফিসার ফোর্স নিয়োজিত থাকবে এবং নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন এবং সকলের সহযোগীতায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সাধারণ জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচলের নিমিত্তে রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর পবা উপজেলার উল্লিখিত ভোটকেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা কর্মী ব্যাতিত ভোটকেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় সকল ধরণের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চলাচল, অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়াও শনিবার মধ্যরাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর উল্লিখিত ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড ডিবি) সামসুন নাহার, বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সাইফউদ্দীন শাহীন, আরএমপি’র ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ-সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

আরবিসি/১৬ অক্টোবর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category