স্টাফ রিপোর্টার : বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় চোখওঠা রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু বাজারে চাহিদামত চোখের ড্রপ পাওয়া যাচ্ছে না। এক শ্রেণির আসাদু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ দাম আদায় করছে। গত মঙ্গল ও বুধবার ভবানীগঞ্জ বাজার ও তাহেরপুর বাজারে ঘুরে চোখ ওঠা রোগের কোন ড্রপ পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে এই উপজেলা ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক হারে চোখ ওঠা রোগ দেখা দেয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আবার শিশুদের মধ্যেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ করা যায়। আস্তে আস্তে এই রোগটি গোটা উপজেলা ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকজন রোগির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে চোখ ওঠা রোগের বিভিন্ন কোম্পানীভেদে একেকটি ড্রপের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন সেই ড্রপ ১শ থেকে দেড়শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহফুজুল হক মাফু বলেন, আমাদের সমিতির আওতাভুক্ত কোন দোকানদার কোন ওষধের দাম বিন্দুমাত্র বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাপক হারে চোখ ওঠা রোগ দেখা দেওয়ায় গত কয়েকদিন আগে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছিল।
তবে আজ থেকে এই সংকট কেটে গেছে। কোম্পানীগুলো ব্যাপক হারে চোখের ড্রপের সাপ্লাই দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, মানুষের অসুস্থতাকে জিম্মী করে কোন ওষধের দাম বেশি নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তপক্ষকে জানিয়ে প্রমান সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরবিসি/১৩ অক্টোবর/ রোজি