স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে চোখের জলে পদ্মা বক্ষে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই রাজশাহীর পদ্মা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে চলে রাত অবধি। বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে একে একে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। এর মধ্যে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো।
হিন্দু ধর্ম মতে- দশভুজা দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন। তবে আবারও ভক্তদের কাছে দিয়ে গেলেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গিকার। তাই আবারও মর্ত্যলোকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানান। এজন্য তাদের মধ্যে আনন্দও ছিল।
দুপুর থেকে রাজশাহীর পদ্মা নদীর মুন্নুজান ঘাটে শুরু হয়েছে ঘট বিসর্জন ও প্রতীমা নিরঞ্জন। দুপুরে মহানগরীর পূজোমণ্ডপ থেকে একে একে ঘাটে আসতে শুরু করে প্রতিমা। নৌকায় তুলে প্রতিমা ঘুরিয়ে করা হয় বিসর্জন।
এর আগে পান্তাভাত খাইয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হয় মন্ডপ থেকে। করোনা সংকটের টানা দুই বছর পর এবারই বড় পরিসরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। বিজয়া দশমীর দিনে তাই নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে মহানগরীর পদ্মা নদীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, শোভাযাত্রা ও গান বাজানো নিষিদ্ধ ও এলাকাগুলোতে টহল বাড়িয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক জানান- রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি ঘাটেই রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। নদীতে গোয়েন্দা ও নৌ পুলিশের বিশেষ বহরসহ রয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। আরএমপি সদর দপ্তরের কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মহানগরীর কুমারপাড়া, আলুপট্টি, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়।
আরবিসি/০৫ অক্টোবর/ রোজি