স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইটভাটায় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনকারী সেই কিশোর গ্যাংলিডার মেহেদী পালাশের বিরুদ্ধে এবার স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বুধবার সকালে গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপহৃত স্কুলছাত্রী আগে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর চাচাতো বোন। সে উপজেলার মহিষালবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে গোদাগাড়ী থানার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংলিডার মেহেদী পলাশ (২২) প্রেম-নিবেদনসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার প্রস্তাবে না সাড়া দিলে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এই বিষয়টি অপহৃত ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে অপহরণকারী মেহেদী পালাশ ও তার বাবা-মাকে অবগত করে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতে নিষেধ করে।
তারপরও কিশোরগ্যাং লিডার ও অপহরকারী মেহেদী পলাশ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছিলো। সর্বশেষ মঙ্গলবার ওই ছাত্রী প্রাইভেট শেষে বাড়ী ফেরার পথে মেহেদী পলাশ তার বাবা আনসার আলী, মা জহুরা বেগম এবং লস্করহাটি এলাকার মৃত ডাবলুর ছেলে আনসার আলীসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অহরহণকারী থানার তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী। সে কিশোরগ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। তার মা জহুরা বেগমও একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার মায়ের নামে মাদক মামলা থাকায় ওয়ারেন্টের আসামী হিসেবে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুনরায় তারা জামিনে এসে একই কারবার চালাচ্ছে। মেহেদী পালাশ ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে অপহৃত ছাত্রীর চাচাতো ভাইকে অপহরণ করে ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করে মেহদী পলাশ ও তার দলবল। গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় মেহেদী পলাশ, কিশোর গ্যাংলিডার রবিউল আওয়াল, শাহরিয়ার জয়, জাহিদ হোসেন, তারেক হাসান, সগরসহ আরো কয়েকজন জড়িত ছিল। ওই ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেও পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়।
আরবিসি/০৫ অক্টোবর/ রোজি