• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজি-মুরগির দাম

Reporter Name / ২৯৩ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মুরগি ও সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সবজির কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, সাপ্লাই কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কৃষকদের উৎপাদন ব্যায় বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। শীতকাল আসছে তখন বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনি কেজি ছিল ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লাল চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মশুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ভারতীয় মশুরের কেজি ১০০ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, গত সপ্তাহে দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। দাম কবে কমবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির উৎপাদন থাকলেও খাবারের অজুহাতে দাম বাড়তি। পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা দাম কমালেই কমবে মুরগির দাম।

আরবিসি/৩০ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category