• শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

প্রবীণ বান্ধব সমাজ গড়ে তোলার দাবি

Reporter Name / ৩০২ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবীণদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সমাজ ও সরকার প্রবীণদের অতীত অবদানের যথাযোগ্য মূল্যায়ন করছে না। এ অবস্থার উত্তরণে প্রবীণ বান্ধব পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তুলতে হবে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান প্রবীণরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সরকার ছাড়াও পারিবারিকভাবে উপযুক্ত মর্যাদা ও অধিকার বঞ্চিত প্রবীণরা। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বহু বছর ধরে শুনে আসছি। তবে এ বয়সের মানুষের সমস্যা মোকাবিলায় দেশে প্রস্তুতি নেই।
বক্তারা বলেন, প্রবীণরা প্রতি মুহূর্তে সামাজিক, মানসিক, আর্থিক, আইনি ও শারীরিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। পরিবার, দেশ ও দশের স্বার্থে এক সময় যারা জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বার্ধক্যের সময় যথাযথ মর্যাদা তাদের প্রাপ্য। আজকের সমাজ ও সভ্যতার কারিগর মূলত প্রবীণরাই। অথচ সামাজিক এ অবদানের স্বীকৃতি পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেও তারা উপেক্ষিত।

এসময় জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো. আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব এ কে এম খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার, বাউয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. কাজী খায়রুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর মো. আব্দুস সালাম বলেন, প্রবীণদের কল্যাণ ও আর্থ-সামাজিক সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সাল হতে বয়স্ক ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও সুবিধাদি বৃদ্ধি করেছে। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মন্ত্রীসভায় ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা’ অনুমোদন দেয়। পরের বছর ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ষাট বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ (জ্যেষ্ঠ নাগরিক) ঘোষণা দেন। ২০১৫ সালের ৪ জুন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের অনেকের কাছ থেকে কোনো আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি। অগ্রগতির কোনো খবরও আমাদের জানা নেই। অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের কোনো কার্যক্রমই পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার বলেন, ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৭১৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ১১ বছরের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির হার দেশের ধারাবাহিক জনশুমারির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি। এ বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে প্রবীণরা রাষ্ট্রের জন্য এক সময় বোঝা হয়ে উঠবে।

আরবিসি/৩০ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category