স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে নগরীর নিউ মার্কেটে এক রেস্তরায় সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবারটি।
ভুক্তভোগীরা হলেন, নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী সাজেমা ও ছেলে গোলাম আজম অন্তর। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, পাওনা ৭০ হাজার টাকাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার ছেলে অন্তরকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। হামলায় জড়িত ছিলেন ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার হোসেন মন্ডল, তার দুই ছেলে মো. হাবিব ও মো. হালিম এবং আব্দুর রাজ্জাকের দুই ছেলে মহিউদ্দিন মহির ও মো. তাবিন। এ সময় আমার স্ত্রী সাজেমা ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা চালানো হয়।
আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে আপত্তি করে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনও হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে পরদিন পাঁচজনের জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও এজহার পরিবর্তন করে ফেলা হয়। এমনকি গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার ছেলে অন্তর ও ভাতিজাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন চন্দ্রিমা থানার এসআই মো. ফারুক। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন আব্দুল মান্নান। এদিন সংবাদ সম্মেলনে আহত অবস্থায়ই তার স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মো. ফারুক বলেন, আমি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নই। কোনো হুমকিও আমি দেই নি। তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্কও নেই। কেন আমার নামে এসব অভিযোগ করছে সেটাও জানি না। আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক নয়, অন্যজন। সুতরাং তিনি হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। ওসি বলেন, মামলায় পাঁচ আসামির তিনজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। পলাতক রয়েছেন বাকি দুজন। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
আরবিসি/২৫ সেপ্টেম্বর/ রোজি