• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

হারভেস্টারে আউশ কাটা-মাড়ায়ে কমেছে কৃষকের খরচ

Reporter Name / ৩৪৯ Time View
Update : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ের ভরা মৌসুমে শ্রমিক সংকট ও বিরুপ আবহাওয়ায় দিশোহারা হয়ে পড়েন কৃষকেরা। খেতের পাকা ধান সঠিক সময়ে কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল তাদের কপালে। এ অবস্থায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে তাদের সেই চিন্তা দুরীভূত হয়েছে। এ মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা-মাড়াই করে খরচ ও ভোগান্তি দুটোই কমেছে তাদের।

কৃষকেরা বলছেন, ধান কাটার উপযুক্ত সময়ে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে নিম্নচাপসহ প্রকৃতিও বিরুপ আচরণ শুরু করে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির কারণে খেতের পাকা ধান নিয়ে কৃষকেরা দুঃচিন্তায় পড়েন। চরম সংকট মুহুর্তে কৃষকের মনে স্বস্তি এনে দেয় কম্বাইন্ড হারভেস্টার।

কৃষকদের দাবী, এ মৌসুমে কাটা-মাড়াই করতে প্রতিমণে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ৭ কেজি করে ধান। কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকেরাও মজুরি বাড়িয়ে ১০ কেজি করেছে। এছাড়া পাওয়ার থ্রেচারে (বুঙ্গা মেশিন) ধান মাড়াইয়ের জন্য প্রতিবিঘা জমিতে আলাদা গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা।

কিন্তু হারভেস্টার মেশিনে অল্প সময়ে কাটা-মাড়াই শেষ করে ধান ঘরে তোলা যাচ্ছে। এতে এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত।

বুধবার উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের সোনারকান্দা মাঠে হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা-মাড়াই কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আউশ ধানের চাষ হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। শ্রমিকের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছে ১০-১২টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার।

সূত্রটি আরও জানায়, আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় এবারে আউশের বাম্পার ফলন হচ্ছে। এ চাষ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে নতুন ধানের দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। এসব জমিতে কৃষকেরা বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করবেন। অনেকে আবার চাষ করবেন আগাম জাতের আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন রবি শস্যের।

উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, এবারে তিনি ১০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন। শ্রমিক দিয়ে কাটা-মাড়াই করতে তার অন্তত ৫০ হাজার টাকা লাগত। কিন্তু হারভেস্টার মেশিনে মাত্র ২০ হাজার টাকায় তিনি কাটা-মাড়াই শেষ করছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় রেখেই কৃষকেরা আউশ ধানের চাষ করেন। এবারে আবহাওয়া অনুকুল ছিল। রোগ-বালাইয়ের প্রকোপও তেমন ছিল না। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে নতুন ধানের দাম ভালো থাকায় এ চাষ থেকে এবারে লাভবান হবেন কৃষকেরা।

আরবিসি/২১ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category