• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, ডিবির ৭ সদস্যের কারাদণ্ড

Reporter Name / ৩৩৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের বহিষ্কৃত সাত সদস্যকে ৭ বছর ও ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুই ধারায় এক লাখ ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল এই রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় হলো। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

ব্যবসায়ী আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আসামিরা তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করেছে। এসব নির্যাতন আর হয়রানিতে আমার ভাই আব্দুল গফুর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের সদর থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় আব্দুল গফুরের পরিবার। টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরের দিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি গফুরের স্বজনরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির কর্মকর্তাকে জানান। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পৌঁছালে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করে। ওই মামলার কার্যক্রমটি এখনো চলমান রয়েছে।

আরবিসি/২০ সেপ্টেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category