স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় চাচা আবদুর রশিদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে ভাতিজা শহিদ হোসেন (২০)। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় আড়ানী পৌর বাজারের তেতুলতলায় জনসম্মুখে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন চাচা আব্দুর রশিদকে গণধোলাই দিয়ে একটি গাছের সাথে বেধে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী দিয়াড়পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শহিদ হোসেন শনিবার সকালে নিজস্ব ভ্যান যোগে যাত্রী নিয়ে আড়ানীর হাটে আসছিল। ভ্যান নিয়ে তিনি আড়ানী বাজারের তেতুলতলা পৌঁছলে তার ছোট চাচা আবদুর রশিদ শত শত মানুষের সামনে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এ সময় চাচা আবদুর রশিদকে স্থানীয়রা আটক করে একটি খুটির সাথে রশি দিয়ে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে শহিদের দাদি মালেকা বেগম জানান, আমার ৫ ছেলে। এরমধ্যে আবদুর রশিদ ও শহিদুল ইসলাম চকসিংগা গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি। বছর খানেক আগে আব্দুর রশিদের স্ত্রী পাতাসী বেগম রান্না করার পানি ফেলতে গিয়ে শহিদুলের ঘরের সামনে পড়ে যায়। এতে তাদের দুই ভাইয়ের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে ভাতিজা শহিদ তার ছোট চাচা আব্দুর রশিদকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কয়েকমাস আগে তিনি বাড়ি আসেন। তারপর চকসিংগা গ্রাম থেকে বাড়িঘর ভেঙে শহিদ দিয়ারপাড়া গ্রামে চলে যায়। এর জের ধরে শনিবার সকালে তিনি এ ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, আব্দুর রশিদ এলাকায় অত্যাচারী ব্যক্তি। সে এলাকায় মাদকের সাথে সম্পৃক্তরা রয়েছে। পাশাপাশি ছ্যাচড়া চোর। তাকে বারবার এ সব কর্মকান্ড থেকে সরে আসার জন্য বলেছি, কিন্তু সে কথা শুনেনি। আজ জনগনের সামনে তার অপকর্মের ফল পেয়েছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতের বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবদুর রশিদকে আটক করা হয়েছে।
আরবিসি/১৭ সেপ্টেম্বর/ রোজি