স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই সতীন লড়াইয়ে নেমে ইউপি চেয়ারম্যান স্বামীর তালাকের নোটিশ পেলেন বড় স্ত্রী। দুই সতীন মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। এ ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে সমর্থন দিয়েছেন বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক। আর অবাধ্য হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় প্রথম স্ত্রীকে তালাকের নোটিশও দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২ নম্বর (বাগমারা) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হকের দুই স্ত্রী নাছিমা বেগম ও ফিরোজা খাতুন। এলাকায় নিজেদের সমর্থনে গণসংযোগও করছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার বড় স্ত্রী নাছিমা বেগম মনোনয়ন জমা দেন। তার দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুমতি নিয়েই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে স্বামীকে নিয়ে মনোনয়পত্র জমা দেন ছোট স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। তিনি বলেন, আমার স্বামীর অনুমতি ও স্থানীয় ইউনিয়নের সব সদস্যদের সমর্থনে নির্বাচনের ময়দানে দাঁড়িয়েন তিনি।
এদিকে নিষেধ করার পরও মনোনয়ন সংগ্রহ করায় গত মঙ্গলবার বড় স্ত্রী নাছিমা বেগমকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক। এতে করে তাদের ৩২ বছরের সংসার ভাঙতে বসেছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বলেন, সে (বড়স্ত্রী) আমার অবাধ্য। অনৈতিকভাবে চলাফেলা করছে সে। এ কারণে আমি তাকে তালাক দিবো, ইতিমধ্যে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি।
আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। নির্বাচনে রাজশাহীতে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জেলার এক হাজার ১৮৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরবিসি/১৭ সেপ্টেম্বর/ রোজি