স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান শিবলীকে নারীসহ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন করায় লোকজন অবরুদ্ধ করে রাখে।
শুক্রবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে অধ্যক্ষ আতাউর রহমান শিবলী ওই নারীকে ডেকে নেন। ওই নারী উপজেলার চানপাড়া হেলিপ্যাড সংলগ্ন বাসায় প্রবেশ করে। এসময় অধ্যক্ষ বাসার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় প্রতিবেশি উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবীসহ এলাকার লোকজন বাড়িঘর ঘিরে রাখেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন মমতাজ আক্তার বেবী।
এসময় তারা অধ্যক্ষ শিবলীর স্বজনদের বিষয়টি জানান। বেলা ১২টা পর্যন্ত বাড়িতে নারীসহ তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে লোকজন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের কিছু ভাড়াটে ক্যাডার ঘটনাস্থলে এসে তাকে নারীসহ মুক্ত করে নিয়ে যায়। তবে এসময় স্থানীয়দের গণধোলাইয়ের শিকার হন অধ্যক্ষ।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এর আগেও শিবলীর একাধিক নারী কেলেংকারীর ঘটনা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীসহ বিভিন্ন কম বয়সী নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন করেন। পরীক্ষায় ছাত্রীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ারও প্রলোভন দেখান তিনি। এনিয়ে বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। তবে তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে পার পেয়ে যান। বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম ফোনে জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ থানায় অভিযোগও করেনি। করলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আতাউর রহমান শিবলী ফোন রিসিভ করেন নি।
আরবিসি/১৬ সেপ্টেম্বর/