আরবিসি ডেস্ক : হঠাৎ করে ফের বেড়েছে ডিমের দাম। পাড়া-মহল্লার দোকানে লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। একটি ডিমের জন্য ক্রেতাদের সর্বনিম্ন গুনতে হচ্ছে ১১ টাকা ২৫ পয়সা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে। কবে কমবে দাম নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাজধানীর পল্লবী, কালশী বাজার ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ৩ দিনের ব্যবধানে লাল ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। বর্তমানে বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। গত শুক্রবার রাজধানীর বাজার গুলোতে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ছিল ২০০ টাকায়।
পল্লী এলাকার বাসিন্দা মো. রানা ডিমের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সব কিছুর দাম এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মানুষ এখন ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় গরিব মানুষ অনেকে ডিম খাওয়া ছেড়ে দিবেন। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে।
পল্লবী এলাকার পাটোয়ারী জেনারেল স্টোরের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক পিন্টু পাটোয়ারী বলেন, গত ৩ দিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির হালিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। লাল ডিমের হালি বিক্রি করছি ৪৮ টাকা। আগামীকালকে আবারও ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কত বাড়বে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, লাল ডিমের খালি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা। ডজন বিক্রি করছি ১৪৫ টাকা। পাইকাররা সুযোগ পেলেই ডিমের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রমজান বলেন, পাইকারদের অজুহাতের শেষ নেই। গত মাসে জ্বালানি তেল ও উৎপাদনের কথা বলে ডিমের দাম বাড়িয়ে ছিল। এবার বলছে সাপ্লাই আর বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। এছাড়াও রয়েছে জ্যামের অজুহাত। পাইকাররা বলছে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ডিম সময়মতো বাজারে আসছে না। সরকার যদি কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আবার ডিমের দাম কমে আসবে।
১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো আশিক বলেন, বৃষ্টি আর উৎপাদন কমের অজুহাতে বেড়েছে ডিমের দাম। সিন্ডিকেট বাড়াচ্ছে ডিমের দাম। সরকার আবার ব্যবস্থা নিলে ডিমের দাম কমে যাবে।
আরবিসি/১৬ সেপ্টেম্বর/ রোজি