স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে নতুন কলেজ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. শামসুজ্জোহা। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাকে এ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের অসহযোগীতায় শেষদিন (সোমবার) পর্যন্ত তিনি শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদান করতে পারেন নি। মন্ত্রনালয়ের আদেশ থাকলেও বোর্ড চেয়ারম্যান তাকে যোগদানে বাধা দিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই কলেজ পরিদর্শক সোমবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে রিপোর্ট করেছন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর মো. শামসুজ্জোহা কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদানের জন্য কয়েকবার শিক্ষাবোর্ডে যান। তিনি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগদানের বিষয়ে দেখাও করেন। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান তাকে রহস্যজনক কারণে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানান।
শিক্ষাবোর্ডের একটি সূত্র জানান, কলেজ পরিদর্শক পদে শামসুজ্জোহা যোগদানের জন্য শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে দেখা করলে সরাসরি তাকে যোগদান করাতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে মো. শামসুজ্জোহা প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব দেননি।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সচিব হুমায়ন কবির জুয়েল জানান, ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর মো. শামসুজ্জোহা কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদানের জন্য রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এসে রিপোর্ট করেন। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান তাকে যোগদান করতে নিষেধ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের আদেশ কেন চেয়ারম্যান অমান্য করছেন তা বোধগম্য নয়।
সর্বশেষ সোমবার (0৫.0৯.২২ ইং) তার যোগদানের নির্ধারিত শেষ সময়। পরিদর্শক পদে শামসুজ্জোহা যোগদান করতে না পারেন তাহলে তা সরাসরি মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য করা হবে।
মো. শামসুজ্জোহা রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে প্রেষণে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সর্বশেষ কলেজ পরিদর্শক ছিলেন অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান।
গত ২৩ নভেম্বর তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে প্রেষণে নিয়োগ পান। এরপর থেকে রাজশাহী বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের পদটি খালি ছিলো।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফোন রিসিভ করেন নি। তবে কলেজ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. শামসুজ্জোহা বলেন, চেয়ারম্যানের এ ধরনের আচরনের পেছনে কোনো রহস্য আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর হাবিবুর রহমান যোগদান করার পর থেকে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি কোনো সমন্বয় করেন না। শিক্ষা বোর্ডের সচিবের সঙ্গেও তার কোনো বনিবনা নেই। এ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে শিক্ষা বোর্ডে যোগদানের সময় বর্তমান সচিবকে বাধা দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। সে সময় এ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা দেয়। পরে জোর করেই সচিব মন্ত্রনালয়ের আদেশে যোগদান করেন।
আরবিসি/০৫ সেপ্টেম্বর/ রোজি