স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ইসলামের আকিদা ও বিভিন্ন যে দিকগুলো রয়েছে, সেগুলোর প্রতি জন্য অত্যন্ত যত্নশীল।
যখন যেখানে কোন সংকট হয়, তখন তিনি সেগুলো সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছেন। কওমি মাদ্রাসাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান দেওয়ার। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন। ফলে লাখ লাখ কওমি মাদ্রাসার যে ছাত্র আছে, তারা সরকারি যেকোন চাকরিতে আবেদন করতে পারেন, নিজ যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি পাবেন। বর্তমান সরকার সারাদেশে অত্যন্ত আকর্ষনীয় ডিজাইনে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে। এর মধ্যে রাজশাহীর উপশহরে একটি ও হেতেমখাঁ বড় মসজিদের জায়গায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এভাবে ইসলাম প্রচার ও দ্বীনের খেদমত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার যত্নশীল আছে, কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।
শনিবার বাদ জোহর রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মারকাজ মসজিদে তাবলীগ জামাতের জোর উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। তাবলীগ জামাতের জোর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আলেম-উলামা ও ইমামরা মারকাজ মসজিদে জড়ো হয়েছেন। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কাটাখালির জামিয়া উসমানিয়া হোছাইনাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মাহমুদ। এ সময় রাজশাহী উলামা কল্যান পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গণি, সাধারণ সম্পাদক মুফতি ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মুসলমানদের মধ্যে হানাফী, আহলে হাদিস সহ বিভিন্ন ভাগ থাকলেও রাজশাহীতে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা আমরা ঘটতে দেয় না।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে আলেম-উলামাদের কল্যানে উলাম কল্যান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমি প্রত্যেক বছর দুই ঈদে রাজশাহী মহানগরীর সকল মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিম, খাদেমদের শুভেচ্ছা ভাতা করি। আপনারা জানেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছর খানেক আগে থেকে সারা দেশের সকল মসজিদের ইমামদের মাসিক কোন সম্মানী ভাতা দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে চেষ্টা করছেন। প্রায় দুই বছর করোনার কারণে আমাদের অনেক কিছুই বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব।
আরবিসি/২৭ আগস্ট/ রোজি