স্টাফ রিপোর্টার : নুডলস খেতে গিয়ে সোহানা আক্তার জিদনি (৩) নামে এক শিশুর গলায় আস্ত সেফটিপিন আটকে গেছে। অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এক্স-রে করার পর শিশুর গলায় আস্ত সেফটিপিন মিলেছে। শিশুটি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
শিশু সোহানা আক্তার জিদনি নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাগপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
হাসপাতালে শিশুটির সঙ্গে এসেছেন তার চাচাতো ভাই হাসান আলী। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শিশু জিদনিকে নুডলস খাওয়াচ্ছিলেন তার মা জুলেখা বেগম। একপর্যায়ে তার গলায় কিছু একটা আটকে যায়। এরপর শিশুটি বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতেই তাকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। এক্স-রে করে সেখানে গলায় সেফটিপিন আটকে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে জিদনিকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের এক্স-রে করা হয়েছে। সেখানেও গলায় সেফটি পিন আটকে থাকতে দেখা গেছে। হাসান আলী আরও জানান, কীভাবে গলায় সেফটি পিন গেল সেটি বোঝা যাচ্ছে না। সেফটিপিন পানিতে ছিল, নাকি নুডলসের মধ্যে ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রামেকের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হাসানের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার সকালে চিকিৎসক রাউন্ডে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ধরনের যন্ত্রপাতি এখানে নেই। সে জন্য দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
আরবিসি/২৬ আগস্ট/ রোজি