স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর পাড় ভেঙে মাটির সাথে পানিতে তলিয়ে গেছে মজাহার হোসেন ওরুপে মজা নামে এক বৃদ্ধ । গত ১২ ঘন্টাতেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বামীর লাশ ভেষে উঠবে এ অপেক্ষায় নদীর পাড়ে বসে আছেন স্ত্রী মজিরণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘনটাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চৌমাদিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, গত প্রায় ২০ দিন ধরে নদীতে পানি বাড়ছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে অনেক ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই তাদের বসত ভিটা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তাদেরই একজন মজাহার হোসেন (৫৩)। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার সময় ভেঙে ফেলা বসতভিটা দেখতে এসে নদীর পাড়ে দাড়ান। এ সময় পাড় ভেঙে পানিতে তলিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা পুলিশ এবং শুক্রবার সকালে বাঘা ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, নদীতে এখন অনেক স্রোত। মজাহার হোসেন এর লাশ কোথায় কখন ভেসে উঠবে সেটা বলা মুসকিল। অনেকেই ধারনা করছেন এ লাশ হয়তো আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তবে লাশ পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় নদীর পাড়ে এসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন তার স্ত্রী মজিরণ ।
ভাঙন কবলিত পদ্মার পাড় থেকে প্রত্যক্ষদর্শী আওলাদ দেওয়ান ও আমিরুল ইসলাম জানান, ঐ বৃদ্ধকে তারা বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার সময় নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন। চোখের নিমিশে নদীর পাড় ভাঙন সহ তার চিৎকার শোনা যায়। এরপর তারা সহ প্রতিবেশি লোকজন নৌকা এবং জাল নিয়ে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও মজাহার হোসেনের সন্ধান মেলেনি।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি.এম মনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, আগে থেকেই ভাঙন চলছিল। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির সাথে ভাঙন পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মতে, মজাহার হোসেন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়াটি মর্মান্তিক। তিনি এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার আমি রাজশাহীতে মিটিং-এ ছিলাম। ঘটনা শুনেছি। আমি আজকে ঐ পরিবারের সাথে দেখা করতে যাবো।
আরবিসি/২৬ আগস্ট/ রোজি