রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও নিপীড়ন এবং শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এই মানববন্ধন পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী নির্যাতন, ছিনতাই ও হয়রানির মতো জঘন্য ঘটনাগুলো সংবাদপত্রে দেখতে হচ্ছে! নির্যাতন করার পর ঘটনাটি প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীকে আবরার ফাহাদের মতো মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা আইসবার্গের শুধু মাথাটা দেখতে পাচ্ছি, এর ভিতরে কিন্তু আরও বেশি নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে। আমরা বর্তমানে যেটাকে রাজনীতি বলছি, সেটা স্বাভাবিকভাবেই অপরাজনীতি, ভন্ডামি, জঘন্য ধরনের সিন্ডিকেটবাজি এবং মাফিয়াবাজি। কিন্তু আমরা এসব চলতে দিতে পারি না। দ্রুত এসব নিরসন করার দাবি জানান বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, আরবী বিভগের অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসউদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, সমাজকর্ম বিভাগের আখতার হোসেন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের রাবি শাখা সভাপতি নাইমুল ইসলাম, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের রাবি শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামছুল ইসলামকে হলকক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে নির্যাতন করার পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নির্যাতনের ঘটনাটি সাংবাদিক কিংবা পুলিশকে জানালে ভুক্তভোগীকে বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা।
আরবিসি/২২ আগস্ট/ রোজি