• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে খুন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপন, গ্রেপ্তার ৩

Reporter Name / ৩০৬ Time View
Update : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে প্রতিবেশীকে খুন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপন করা এক দম্পতি ও তাদের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদাম বিবিরহাট ও উত্তর সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-রাজশাহী নগরের শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার মো. বকুল আলী (৪৫), তার স্ত্রী আমেনা (৪০) ও তাদের ছেলে মো. নাহিদ হোসেন (২০)। অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেছিলেন মুকুল আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুল আলী ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী মুকুল আলীকে হত্যা করে বলে জানায় র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, রাজশাহীর শাহ মখদুম হরিষার ডাইং এলাকার মুকুল আলী ও বকুল আলীর পরিবার পাশাপাশি বাসায় বসবাস করেন। গত ১৫-২০ বছর ধরে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১ আগস্ট রাতে বাসায় উচ্চ শব্দে গান শুনছিলেন বকুল আলীর ছেলে নাহিদ। এতে প্রতিবেশী মুকল আলীর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। তিনি অসুস্থবোধ করায় মুকুল আলী নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিক সাউন্ড বক্সের শব্দ কমিয়ে দেন। মুকুল আলী চলে যাওয়ার পর আবারো শব্দ বাড়িয়ে দেন।

মুকুল আলী আবারো নাহিদের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে নাহিদ, তার বাবা, মা ও বোন মিলে লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করে। ছুরি দিয়ে শরীরে জখম করে। মুকুলের চিৎকার শুনে তার ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মুকুল আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন মুকুল আলীর ছেলে শামীম ইসলাম শাহ মখদুম থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান তিন আসামি পালিয়ে যায়।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘তিন আসামি ঘটনার পর রাজশাহী ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে এসে উত্তর সলিমপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। বকুল আলী ও তার ছেলে নাহিদ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। কয়েকদিন ধরে তারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান শনাক্তের পর সীতাকুণ্ডের মাদাম বিবিরহাট থেকে বকুল আলী ও নাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে উত্তর সলিমপুর থেকে আমেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মুকুল আলীকে ছুরিকাঘাত করেছে নাহিদ। লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে বকুল ও আমেনা।’

এ প্রসঙ্গে শাহ মখদুম থানার ওসি মেহেদী হাসান সমকালকে বলেন, ‘তিন আসামি গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম চট্টগ্রামে যায়। তারা র‌্যাবের কাছ থেকে আসামিদের বুঝে নিয়ে রওনা দিয়েছে। রাজশাহী এসে পৌঁছলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে। যদি প্রয়োজন হয় রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।’

আরবিসি/১৪ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category