আরবিসি ডেস্ক : মরদেহ উদ্ধারের পর কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহ সিআইডির সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে নাটোর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সিআইডির কর্মকর্তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বিস্তারিত কিছু জানাননি।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার জানান, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শামিউল ইসলাম শান্তকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট পাওয়ার পর ময়নাতদন্ত শুরু করা হবে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহসীন জানান, রাজশাহী সিআইডির ফরেনসিক টিম দুপুর ১২টার দিকে বলারীপাড়ার ওই বাড়িতে আসেন। সিআইডির ফরেনসিক টিমের পরিদর্শক অনিমেষ মকুট মনিরের নেতৃত্বে আসা ফরেনসিক টিমের সদস্যরা সুরতহাল প্রতিবেদন করার পাশাপাশি আলামত সংগ্রহ করেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে খায়রুন নাহারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়।
পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি।
এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরবিসি/১৪ আগস্ট/ রোজি