• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজুড়ে একদিনে করোনায় আক্রান্ত সোয়া ৮ লাখ, মৃত্যু ১৬৬৬

Reporter Name / ৩৯০ Time View
Update : বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সোয়া ৮ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৬৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৬ হাজার।

বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৬৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ছয়শো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৬ হাজার ৯১৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩০৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তিন লাখেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩১ হাজার ৯৪০ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৩ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ৩০১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৫ জন মারা গেছেন।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৫৬২ জন এবং মারা গেছেন ১১৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩১ হাজার ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৭৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ২২১ জন এবং মারা গেছেন ২৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ২৩২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৩১ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৬ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ১৮৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৩৬ জনের। একইসময়ে রোমানিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ২০৯ জন এবং মারা গেছেন ১০০ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরবিসি/২৭ জুলাই/ রোজি

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category