জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে স্ত্রীকে খুন করার ২০ বছর পর মো. নয়ন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নয়নের পাঁচবিবি উপজেলার গোহারা (দামপাড়া) গ্রামের আনছের আলীর ছেলে
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, প্রায় ২৬ বছর আগে মো. নয়নের (৪৫) সঙ্গে একই উপজেলার ঢাকারপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে মোছা. রেশমার (ফুরকুনী) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক মেয়ের জন্ম হয়। তার বর্তমান বয়স ২৪ বছর। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে নয়ন ও রেশমার মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। নয়ন তার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন।
বিগত ২০০২ সালের ৯ নভেম্বর পারিবারিক কারণে নয়ন রেশমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন এবং তার গলা চেপে ধরে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরের দিন ১০ নভেম্বর আবারো রেশমাকে নয়ন মারপিট করে, বুকের ওপর ওঠে লাথি মারেন। এতে রেশমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং সেখানেই মারা যান। ঘটনার দিনই রেশমার ভাই আবীর মন্ডল বাদী হয়ে নয়নকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ আদালত মামলার রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র বর্মন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. হাসান আলী ও আবু কাইছার। হাসান আলী বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরবিসি/২৪ জুলাই/ রোজি
জয়পুরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড
জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে স্ত্রীকে খুন করার ২০ বছর পর মো. নয়ন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নয়নের পাঁচবিবি উপজেলার গোহারা (দামপাড়া) গ্রামের আনছের আলীর ছেলে
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, প্রায় ২৬ বছর আগে মো. নয়নের (৪৫) সঙ্গে একই উপজেলার ঢাকারপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে মোছা. রেশমার (ফুরকুনী) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক মেয়ের জন্ম হয়। তার বর্তমান বয়স ২৪ বছর। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে নয়ন ও রেশমার মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। নয়ন তার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন।
বিগত ২০০২ সালের ৯ নভেম্বর পারিবারিক কারণে নয়ন রেশমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন এবং তার গলা চেপে ধরে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরের দিন ১০ নভেম্বর আবারো রেশমাকে নয়ন মারপিট করে, বুকের ওপর ওঠে লাথি মারেন। এতে রেশমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং সেখানেই মারা যান। ঘটনার দিনই রেশমার ভাই আবীর মন্ডল বাদী হয়ে নয়নকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ আদালত মামলার রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র বর্মন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. হাসান আলী ও আবু কাইছার। হাসান আলী বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরবিসি/২৪ জুলাই/ রোজি