আরবিসি ডেস্ক : মেয়ে মানে পরিবারের বোঝা, বাবা-মায়ের সার্বক্ষণিক দুশ্চিন্তার কারণ। সমাজের কম-বেশি সকলের মনের ধারণা-বিশ্বাস এটাই। কিন্তু সময়ের পালাবদলে সে দৃশ্যে পরিবর্তন আসছে। মেয়েরাও এখন নানান ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রমাণ করছে নিজেদের যোগ্যতা।
একটা মেয়েও যে হতে পারে পরিবারের অবলম্বন, মূল কাণ্ডারি, তা নতুন আঙ্গিকে বুঝিয়ে দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে শুধু অভিনয়ই করেননি, বরং মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন দর্শকের হৃদয়ে।
নাটকের নাম ‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’। পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি নাটকটি প্রচার হয়েছে। ইউটিউবেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নাটকটি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক।
মেহজাবীনের অনবদ্য অভিনয় দর্শকের চোখে জল এনেছে। সিংহভাগ দর্শকের দাবি, নাটকের শেষ দৃশ্য দেখে তারা কান্না ধরে রাখতে পারেননি। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা আর আবেগ নাড়া দিয়েছে সবার মনে।
চোখে জল এলেও এমন একটি কাজ দেখে খুশি দর্শক। কেউ বললেন, ‘মেহজাবীনকে আল্লাহ কী দিয়ে বানিয়েছেন, উনিই জানেন। তার অভিনয়ের সঙ্গে কারও তুলনা হয়না। শেষ দৃশ্যে চোখে পানি চলে এসেছে’; কেউ লিখেছেন, ‘মেহজাবীন চৌধুরী একমাত্র গুণী শিল্পী যাকে দিয়ে সব চরিত্র সম্ভব’; আবার কেউ লিখেছেন, ‘মন জুড়িয়ে গেল। এত নিখুঁত অভিনয়, সত্যি অসাধারণ।’
দর্শকের এমন প্রশংসায় পরিশ্রমের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন মেহজাবীন। তার ভাষ্য, ‘প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি দর্শককে ভিন্ন কিছু উপহার দিতে। এজন্য পরিশ্রমের খামতি রাখছি না। দর্শকের ভালো লাগা, প্রশংসা দেখে মনে হচ্ছে পরিশ্রম সার্থক। তাদের এই ভালোবাসা আগামীতে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’ উল্লেখ্য, ‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ নাটকে মেহজাবীনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস। এছাড়াও আছেন জিয়াউল হাসান কিসলু, রেশমা প্রমুখ।
আরবিসি/১৭ জুলাই/ রোজি