আরবিসি ডেস্ক: ঈদের ছুটি শেষে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় পাঁচ দিন পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আবার হাজারের ঘর ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৪৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
আগের দিন ৪ হাজার ৭৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সারা দেশে ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। সবশেষ গত ৮ জুলাই ১ হাজার ৬১১ জন রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপরই ঈদের ছুটির কারণে নমুনা পরীক্ষা কমে যায়। সেই সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও নেমে আসে হাজারের নিচে।
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ৭ জুলাই ১০ হাজার ৮২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭৯০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর ঈদের পরদিন নমুনা পরীক্ষা চার হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, আগের দিন এই হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৮ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫৯ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৪১৯ জন।
নতুন শনাক্ত ১০২৭ জনের মধ্যে ৬৫৮ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের মোট ৪৭ জেলায় গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৯টি এলাকায় গত এক দিনে কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ঈদের ছুটির আগে দেশের সব জেলাতেই পরীক্ষার জন্য নমুনা আসছিল। ঈদের ছুটির মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়।
গত এক দিনে মারা যাওয়া চারজন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দাম বাকি একজন রংপুরের। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের তিনজনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। আর একজনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৯০ বছরের বেশি ছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৭৮ লাখের বেশি।
আরবিসি/১৩ জুলাই/ রোজি