স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২১ সালের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ উপলক্ষে ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫৬৮ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
সংবর্ধনায় আগত জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানের আয়োজক সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি’র সাথে সাথে শপথ বাক্য পাঠ করেন। সামনে হাত তুলে এক সাথে সবাই বলেন, মাতৃভূমির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করিব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাবা-মা ও শিক্ষকদের পরামর্শ সর্বদা মানিয়া চলিব।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাবা-মায়ের প্রতি অনুগত থাকিব। যে কোন দুঃখ কষ্ট গ্লানি পরাজয় ও প্ররোচনায় জঙ্গিবাদ ও মাদক হইতে বিরত থাকিব। জীবনের কোন অবস্থাতেই মাদক স্পর্শ করিব না। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। শিক্ষা একটি জাতিকে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সাহায্য করে। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। ২০০৬ সাল থেকে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করে আসছেন এই ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এখন স্বার্থক। তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৫৬৮ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
২০০৬ সাল থেকে সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশন বাগমারার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে আসছে। এর ফলে এলাকায় মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরী ও ভালো ফলাফলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির হয়েছে। এই প্রচেষ্টায় এলাকার কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা, বাড়তে থাকে কৃতি ও মেধাবীদের সংখ্যা। শুধু কৃতি শিক্ষার্থীই নয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেউ আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান। প্রধান অতিথি তাঁর বলেন, মানবিক শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। শুধু জিপিএ-৫ অর্জন করলেই সব হয়ে গেলে না। লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। দেশ ও সমাজের কল্যাণের কাজে নিয়োজিত হতে না পারলে সে শিক্ষার দরকার নেই। জ্ঞান অর্জন মানে সবকিছু না। মানুষের উপকারে আসবে সেই জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ভালো শিক্ষার্থীরাই ভালো কিছু করে। তবে নিজেকে খারাপ কাজে নিয়োজিত রাখা যাবে না। ভালো ফলাফল করলেই কাজ শেষ হয়ে গেল না। নিজেকে ভালো কাজে জড়িত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম মাহমুদ হাসান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনলি কুমার সরকার।
আরবিসি/১২ জুলাই/ রোজি