• শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের চমক

Reporter Name / ৩৫০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আবারো রেকর্ড গড়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। গতবারের মতো এবারো দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে রাসিক। তাইতো ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে তকতকে শহর পেলেন মহানগরবাসী। এদিকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সার্বিক সহযোগিতা করায় নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহার দিন সকাল ১০টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন সিটি কর্পোরেশনের ১৩৭৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী। বিকেলের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য রাখা হয় সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত এসটিএস সমূহসহ ৫৮টি স্থানে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর ঐতিহ্য চত্বর সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকে এসটিএসসহ নির্ধারিত স্থানসমূহ থেকে বর্জ্য সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

উদ্বোধনকালে মেয়র জানিয়েছিলেন,‘রাত ১২টার মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’ তবে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ২৮টি ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়।

রাসিক মেয়র এএইচএ খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মহানগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি রাজশাহী মহানগরবাসী এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

মেয়র আরো বলেন, কোরবানির পশু জবেহকরণের জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত স্থানের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি দিয়েছেন নাগরিকরা। ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়েছি। কোরবানির স্থানসমূহ পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, কোরবানি পশু জবেহকরণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার, মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম।

আরবিসি/১২ জুলাই/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category