আরবিসি ডেস্ক : স্বপ্ন এখন সত্যি। এদেশের মানুষ দীর্ঘ সাত বছর ধরে যে স্বপ্ন দেখছিল, পদ্মা নদীর ওপরও সেতু হবে, সেই স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। পুরো জাতির স্বপ্ন পূরণ হলো আজ। শনিবার সকাল ১০টায় শেষ হলো অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর। যে স্বপ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মূল সেতুর নির্মাণ ও নদীশাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন, তাঁর হাত দিয়েই আজ উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। এর সকল কৃতিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই তো আজ উৎসবে মেতেছে সারাদেশ। পদ্মাপাড়ের উৎসবে জেগে উঠেছে সারাদেশের মানুষ। আর এ সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমকালীন ইতিহাসে একটি মাইলফলক রচিত হলো।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে পদ্মা সেতুর মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশাল প্রতিবন্ধকতার পথে হাঁটতে হাঁটতে ঠিকই তিনি গন্তব্যে পৌঁছেছেন। সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত ষড়যন্ত্রের জাল দৃঢ়তার সঙ্গে ছিন্ন করে তিনি সত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই তো পদ্মা সেতু আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস, দূরদর্শিতা আর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসের প্রতীক। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিশ্ব আরও একবার বাংলাদেশের সক্ষমতা জানার সুযোগ পেল।
পদ্মা সেতু আজ আর শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি এখন বাঙালী জাতির গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহঙ্কারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখ- সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে এই সেতু যেমন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে, তেমনই কমপক্ষে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। লাভবান হবে গোটা দেশের মানুষ। প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে এই সেতু বিরাট ভূমিকা রাখবে।
আরবিসি/২৫ জুন/ রোজি