নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের জন্য স্বামী, ভাসুর ও শাশুড়ির অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই সন্তানের মা আনছুরা খাতুন। তাকে নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর থানায় ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগেও একাধিকবার ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন করেন তার স্বামী চাঁন মিয়া, ভাসুর মোজা ও শাশুড়ি অতিজা বেওয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের মানিকপাটন (ঠাকুরডাঙ্গা) গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলের সাথে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের ঘোলকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আনছুরা খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে চাঁন মিয়া যৌতুক দাবি করে আসছিল। তাই মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আনছুরা খাতুনের বাবা চাঁন মিয়াকে নগদ অর্থসহ আসবাবপত্র দেন। কিন্তু এতেও মন ভরেনি তার। আরও টাকার জন্য কারণে-অকারণে সে নির্যাতন করতে থাকে স্ত্রীর ওপর।
সবশেষ গত ১৫ জুন সকালে শাশুড়ি অতিজা বেওয়া, ভাসুর মোজা ও স্বামী চাঁন মিয়া দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আনছুরা খাতুনের কাছে। স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেন স্বামী। এতে অস্বীকৃতি জানালে শাশুড়ি, ভাসুর ও স্বামী মিলে আনছুরা খাতুনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে আনছুরা খাতুনের ভাই ও বাবা তাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আনছুরা খাতুন বলেন, আমার বাবা নিম্নবিত্ত পরিবারের। কোন রকম উপার্জন করে, ডালভাত খায়। নিজেদের তেমন কোন জমাজমি নাই। কী করে আমার বাবা দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেবে। শাশুড়ি ও ভাসুরের কথা মতো কারণে অকারণে আমার স্বামী আমাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালায়। আমার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরবিসি/১৬ জুন/ রোজি