স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট সমাজ সেবী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহিন আক্তার রেনী বলেছেন, পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন ছাড়া সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘লিডারশিপ এ্যন্ড ইমপাওয়ারমেন্ট অফ ট্রান্সজেন্ডার’ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্তুরেন্টে দিনের আলো হিজড়া সংঘ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, হিজড়াদের কালচার ও হিজড়াদের সংগঠন দুইটি পৃথক বিষয়। দিনের আলো হিজড়া সংঘ স্থানীয় হিজড়াদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ভাবে কাজ করা হচ্ছে। যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে মাথা উচু করে চলতে পারে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে হিজড়াদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমবে। হিজড়াদের মধ্যে যারা চাঁদাবাজি ও অপরাধে জড়িত তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। একই সাথে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হিজড়াদের চিহ্নিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে অবস্থান করা হিজড়াদের তালিাকা প্রস্তুতের উপর জোড় দেয়া হয়। জানানো হয়, সারা দেশে সরকারি হিসেবে ১১ হাজার আর বেসরকারি হিসেবে ১৫ হাজার হিজড়া রয়েছে। যার মধ্যে রাজশাহীতে রয়েছে ৩০০ জন হিজড়া।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে সভায় জানানো হয়, রাষ্ট্র সুযোগ দিচ্ছে সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে কাজ করতে হবে। একই সাথে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হিজড়াদের নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে হিজড়াদের ‘গুরুপ্রথা’ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, হিজড়াদের সংগঠমুখি করতে হবে। সংগঠনের কোন ব্যক্তি মতাদর্শে চলার সুযোগ নেই, সংগঠন চলে নিয়ম নীতি দিয়ে, যাতে সরকারের নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ থাকে। হিজড়ারা পরিবার, সমাজ এমনকি নিজেদের প্রাপ্প সম্পদ থেকেও বঞ্চিত হয়। বঞ্চিত এই মানুষকে আলাদা ভাবে যত্ন নিয়ে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আকবারুল হাসান মিল্লাত, শরিফ সুমন, সেকেন্দার আলী ও শ্যামল কুমার ঘোষ।
আরবিসি/১৬ জুন/ রোজি