আরবিসি ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপর্ণা রানি নাথ নামে এক গৃহবধূর কাছ থেকে লাখ টাকা ও আট ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ তিন ছিনতাইকারী৷
রোববার রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার খিলবাইছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপর্ণা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে জেলার সদর উপজেলার হামছাদীর কালিবাজার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি জেলা শহরের দিকে আসছিলেন।
পথেই তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটান অটোরিকশার চালক ও যাত্রীবেশী দু’জন।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গৃহবধূর স্বামী।
অপর্ণা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী রবি রায় নাথের স্ত্রী।
তিনি জানান, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কালি বাজার এলাকায় তার বাবার বাড়ি। বিকেলে তিনি ওই এলাকায় একটি বিয়ের দাওয়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তার ভাই হৃদয় চন্দ্র নাথ তাকে ৯৫ হাজার টাকা দেন। পরে তিনি কালিবাজার থেকে নিজবাড়ি লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে একটি অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও দুই যাত্রী ছিলেন। পথে খিলবাইছার নান্টু মিয়ার ইটভাটার কাছে পৌঁছালে অটোরিকশাটি থামানো হয়।
এসময় পাশের এক যাত্রী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে যান। সেখান থেকে এসেই দুই যাত্রী তার গলায় ছুরি ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। এসময় চিৎকার যেন করতে না পারেন, সেজন্য তার মুখে লাঠি ঢুকিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে গলায় ছুরি ঠেকানো হয়। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা প্রায় এক লাখ টাকা, ছয় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন লুটে নেন তারা। এসময় তাকে মারধরও করা হয়। পরে তাকে ফেলে রেখে অটোরিকশার চালক ও দুই যাত্রী ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। অপর্ণা কাউকেই চিনতে পারেননি।
মারধরে আহত হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অপর্ণার ভাই হৃদয় চন্দ্র নাথ বলেন, দিদির সঙ্গে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কাজের চাপ থাকায় যেতে পারিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরবিসি/১৩ জুন/ রোজি