আরবিসি ডেস্ক : বাবার সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি দিঘিতে মাছ ধরতে গিয়েছিল সাত বছর বয়সী মরিয়ম খাতুন। দিঘিতে এলাকার আরও অনেকে মাছ ধরছিলেন। পাশাপাশি মাছ ধরছিলেন বাবা মঞ্জুর রহমান ও মেয়ে মরিয়ম। একপর্যায়ে বাবার চোখের আড়ালে পানিতে ডুবে যায় মরিয়ম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দিঘি থেকে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তক্তপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে গ্রামের একটি দিঘিতে সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে মাছ ধরতে যান মঞ্জুর রহমান। তাঁদের সঙ্গে গ্রামের আরও অনেকে মাছ ধরছিলেন। পাশাপাশি বাবা-মেয়ে মাছ ধরছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। মেয়েকে পাশে দেখতে না পেয়ে বাবা ভেবেছিলেন মরিয়ম বাড়িতে চলে গেছে। বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে স্বজনদের কাছে তার কথা জানতে চান। মেয়ে বাড়িতে ফেরেনি বলার পর বাবার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে বাবা দিঘিতে ফিরে যান। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বেলা তিনটার দিকে দিঘিতে নেমে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে দিঘি থেকে অচেতন অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে মরিয়মকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একই সঙ্গে অনেকে দিঘিতে মাছ ধরার কোনো এক সময় মরিয়ম পানিতে তলিয়ে যায়। দিঘিতে সামান্য পানি ও কাদা ছিল। কাদার ভেতর থেকে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
আরবিসি/১২ জুন/ রোজি