নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকায় শ্বশুর বাড়ী থেকে চার বছর পূর্বে গুম হওয়া আসমানীকে টাঙ্গাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পিবিআই।
বুধবার দুপুরে নাটোর পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে গুম হয় আসমানী। দীর্ঘ ৫ মাস মেয়ের খবর না পেয়ে আসমানীর শ্বশুর বাড়িতে আসেন তার বাবা আকবর আলী। সেখানে আসমানীর বাবা আসমানীর সাথে দেখা করতে চাইলে তার সাথে দূর্ব্যবহার করা হয় এবং আসমানীকে মেরে ফেলে মরদেহ গুম করে ফেলা হয়েছে বলে জানান শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।
পরে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নাটোর সদর থানায় আসমানীর পিতা বাদি হয়ে আসমানীর স্বামী দুলালসহ পরিবারের ৫ সদস্যর নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা রুজু করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসমানীর শ্বশুরকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে।
এসময় আদালত অধিক তদন্ত করতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। তারপর থেকে পিবিআই পুলিশের একটি দল দীর্ঘ ৫ বছর পরে চলতি বছর ৩১ মে আসমানীকে জীবিত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের গোড়াই এলাকার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করে।
পিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদে আসমানী জানান, ২০১৫ সালে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের অমানবিক নির্যাতনেই কাউকে কিছু না বলে স্বেচ্ছায় আমি পালিয়ে থাকি। এসময় তিনি পরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ করেননি।
আরবিসি/০১ জুন/ রোজি