স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেশের বাইরে রপ্তানী করা হচ্ছে দেশ বিখ্যাত বাঘার আম। ১ জুন ইংল্যান্ড ও হংকং-এ এই আম রপ্তানী করা হয়। এবার মৌসুমের শুরুতে প্রথম যে কৃষক আম রপ্তানী করার সুযোগ পেয়েছেন তার নাম ছানিউল ইসলাম ছানা। বাড়ী উপজেলার কলিকগ্রাম এলাকায়। তিনি বাঘার শতাধিক লিট ফার্মারের মধ্যে একজন বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ্ সুলতান।
তিনি বলেন, চারঘাট-বাঘার স্থানীয় সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিবারের ন্যায় বাঘার সু-মিষ্ট আম এবারও দেশের বাইরে রপ্তানী করা শুরু হয়েছে। তবে এ বছর প্রথম লি-এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে ১ মেট্রিক টন এবং মাহাতাব এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে হংকং-এ হাফ মেট্রিক খিরসাপাত (হিমসাগর) আম রপ্তানি করা হয়েছে।
কৃষি অফিসার বলেন, রাস্তার দুই ধারে সারি-সারি আম বাগান আর সুস্বাদু-বাহারি জাতের আমের কথা উঠলেই চলে আসে রাজশাহী অঞ্চলের নাম। এই জেলাকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও মূলত আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত জেলার বাঘা উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী চাপাই নববঞ্জকে ঘিরে।
তাঁর মতে, রাজশাহীর ৯ টি উপজেলার মধ্যে ৮ টিতে যে পরিমান আম বাগান রয়েছে, তার সমপরিমান বাগান রয়েছে বাঘা উপজেলায়।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বাঘার গোপাল ভোগ, হিমসাগর, ল্যাংলা ফজলী, গোরমতি ও আম্রপালী গত ৫-৬ বছর ধরে রপ্তানী করা হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতে। সম্পুর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে।
এদিকে উপজেলার সফল আম চাষী কলিকগ্রামের আশরাফুদৌল্লা, বাঘার মুক্তার হোসেন এবং আড়পাড়ার মহাসিন আলী সহ অনেকেই বলেন, যদি গত বারের ন্যায় এবারও তারা আম রপ্তানী করে সফল হন, তাহলে আগামি বছর থেকে আমের উৎপাদন ও যত্ন দ্বিগুন হবে।
আরবিসি/০১ জুন/ রোজি