• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

মৎস্য পরিবহনে চালু হলো প্রথম মোবাইল অ্যাপ ‘মাছগাড়ি’

Reporter Name / ২১৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রথম বারের মতো মাছ পরিবহণের জন্য মাছ গাড়ি নামের একটি এ্যাপ চালু করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকার সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে মৎস্য খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। সভায় ‘মাছ গাড়ি’ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জানানো হয় এই অ্যাপসের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৭৪৭ টি ট্রিপ এবং ৭৩২ মেট্রিক টন মাছ প্রকল্প এলাকা থেকে পরিবহন করা হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম ফেরদৌস আলম, যুগ্ম সচিব হাফছা বেগম, উপ সচিব এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক খ: মাহবুবুল হক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অনলাইনে আরো যুক্ত হন বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৫ জন জেলা মৎস কর্মকর্তা। সভায় মাননীয় সচিব তাঁর বক্তব্যে এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মৎস্য খাতে মাছ গাড়ি সংযোজন একটি উল্লেযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি মাছ চাষী, পরিবহন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রাখবে।

সভা পরিচালনা করেন হাফছা বেগম, যুগ্ম সচিব, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয়।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে, ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার এ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি, ওয়ার্ল্ডফিস এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ড. মনজুরুল করিম, চিফ অফ পার্টি এবং ড. মো: সামসুল কবির, ডেপুটি চিফ অফ পার্টি।

মাছ গাড়ি অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে স্বল্প খরচে চাষীরা মাছ পরিবহন করতে পারবেন। এতে করে মাছ পরিবহনে চাষি ও মৎস্য বিষয়ক অন্যান্য স্টেকহোল্ডার গণ উপকৃত হবেন এবং মাছ পরিবহন এ সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে। তাছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে মাছ সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে। যে সব চাষীদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের কথা বিবেচনা করে এই পরিবহণ ব্যবস্থায় একটি কার্যকর কল সেন্টার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষীরা প্রয়োজনে কল সেন্টারে কল করার মাধ্যমেও এই সেবা নিতে পারেন। মাছ গাড়ি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার এ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি এর আওতায় ওয়ার্ল্ডফিসের বাস্তবায়নে এবং মাঠ পর্যায়ে এম ওয়ার্ল্ড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

আরবিসি/৩১ মে/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category