আরবিসি ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মাদক রোধে কঠোর হতে কঠোরতর হতে হবে। অপরাধীদের কোনও দলীয় পরিচয় নেই। মাদকের সঙ্গে জড়িতরা যে দলেরই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের রামু বিজিবি রিজিয়ন মাঠে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক ঠেকাতে সীমান্ত হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে ২৭৪ কিলোমিটার। দেশটি থেকে ২৪ প্রকার মাদক আসে। সীমান্তে কাজ করা অনেক দুরূহ ব্যাপার। এ কারণে বিজিবিতে হেলিকপ্টার থেকে শুরু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সীমান্তে মাদক ও মানবপাচার রোধে কাজ করছে বিজিবি। তারা দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করে যাচ্ছেন।’
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘দেশে মাদকসেবীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ তরুণ। আমাদের লক্ষ্য, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘দেশকে মাদকমুক্ত করতে বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের দুর্যোগকালীন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবিরা সীমান্ত প্রহরী। তাই, বিজিবির আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।’
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি/২৭ মে/ রোজি