স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের অভিযানে জব্দ ২৫ হাজার ৭৯৪ লিটার তেল খোলা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৮ ও ২৯ মে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্থানীয় দুই ডিলারের মাধ্যমে এই তেল বিক্রি করবে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিলিটার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-২ এর বিচারক মারুফ আল্লাম এই নির্দেশ দেন।
আদালতের জিআরও মো. আজিম হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জব্দকৃত ভোজ্যতেল বিলি ব্যবস্থাপনার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জব্দকৃত ভোজ্যতেলের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় আলামত হিসেবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ বেশ দূরহ। তাছাড়া দেশে ভোজ্যতেলের সংকট রয়েছে। তেলের মূল্য সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় আদালত টিসিবির অনুমোদিত স্থানীয় ডিলার মেসার্স মোবিদুল এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেন।
জিআরও আরও বলেন, জব্দকৃত তেল সমান দুই ভাগে ভাগ করে দুজন ডিলারকে বিক্রির জন্য বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিক্রয়করসহ প্রতিলিটার তেলের মূল্য ১০৫ টাকা ৩৭ পয়সা বুঝে নিয়ে ডিলারদের মাঝে এই তেল বণ্টন করবেন বাগমারা থানার ওসি। পরে সেই অর্থ ওসি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হিসাবরক্ষক বরাবর প্রদান করবেন। হিসাবরক্ষক সেই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল নিতে পারবেন। প্রতিলিটার তেলের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তেল বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করবেন থানার একজন এসআই। এ ছাড়া প্রত্যেক ডিলার পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তেলের বাড়তি মূল্য যেন আদায় না হয় সেটিও নিশ্চিত করবে পুলিশ। তেল বিক্রি শেষে আদালতে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করবেন ওসি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে রাতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারপাড়া ও তেলিপাড়া এলাকার দুটি গুদাম থেকে ১৯ হাজার ২২৪ লিটার সয়াবিন এবং ৭ হাজার ৫০০ সরিষার তেল জব্দ করে জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সেখানকার তেল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম স্বপনকে (৪০)। তবে পালিয়ে যান মজুদকাণ্ডে যুক্ত স্বপনের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম। তাদের দুজনের নামে ওই রাতেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয় বাগমারা থানায়।
আরবিসি/২৪ মে/ রোজি