নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬জন। গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত নাটোরের সিংড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র ও গৃহবধূসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে এ সড়কের চলমান কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং চালকদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬জন। গত ২০ এপ্রিল ইফতারি কিনতে বাড়ি যাওয়ার সময় সিংড়া-নলডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রলীগ কর্মী মাসুম আলী নিহত হয়।
এরপর ২৪ এপ্রিল নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নিংগইন এলাকায় বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিংড়া উপজেলার চকপুর বিলভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী বাপ্পি ও আল-আমিন নিহত হয়।
গত ২৬ এপ্রিল সিংড়া-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কে দ্রুতগতির অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারান ডাহিয়া গ্রামের গৃহবধূ নার্গিস বিবি। এরপর গত ৯ মে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নিংগইন এলাকায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির চাপায় প্রাণ যায় সাংবাদিক সোহেল রানা (৩৬) এবং ২৩মে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চৌগ্রাম বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় দ্রুতগতির ট্রাক্টরের ধাক্কায় প্রাণ হারান চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আইয়ুব আলী (৩২)।
এরমধ্যে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে ৪ জন, সিংড়া-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কে ১ জন ও সিংড়া-নলডাঙ্গা সড়কে ১ জনের মৃত্যু হয়। সচেতনরা বলছেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, গাড়ির ফিটনেস না থাকা, অদক্ষ চালক ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, দুর্ঘটনা রোধে এ সড়কের চলমান কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং চালকদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। চালক ও পথচারীদের সচেতনতাই পারে দুর্ঘটনা রোধ করতে।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার বলেন, চালকদের মনে রাখা উচিত একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফিডার রাস্তাগুলোর থেকে হাইওয়ে রোডে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরবিসি/২৪ মে/ রোজি